কাছিকাটা-হালসা সড়ক

জোড়াতালি দিয়ে চলছে সংস্কার কাজ

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

নাজমুল হাসান, গুরুদাসপুর (নাটোর)
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কাছিকাটা-হালসা সড়কের গুরুদাসপুর পৌর সদর অংশের 'নারীবাড়ি বয়েজ হাজীর সুটার মিল থেকে ফায়ার সার্ভিস' পর্যন্ত সড়কটির সংস্কারকাজ চলছে নাজুকভাবে। নাটোর সড়ক ও জনপথ অফিস জানিয়েছে, ১৮শ' মিটার সড়ক সংস্কারের ওই কাজটি পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কন্সট্রাকশন। সিলকোডের এই কাজটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা। এতে ১২ মিলি উচ্চতায় সিলকোড করার কথা রয়েছে। গুরুদাপুর থানা চত্বরের মুক্তার আলী, আব্দুল আলিম, স্বপন দাস, আলতাব হোসেনসহ কমপক্ষে দশজন স্থানীয় ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন- সড়কের কিছু কিছু অংশে পিচ পাথর ছিটিয়ে কোনোমতে রোলিং করা হচ্ছে। এতে করে সড়ক সমতলের পরিবর্তে হচ্ছে উঁচুনিচু। সড়কটির সংস্কারকাজ যেভাবে করা হচ্ছে, তাতে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এমন অনিয়মের কারণে সড়কটির ভবিষৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বলে জানান তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ১২ মিলি সিলকোডের কাজে সর্বোচ্চ ১০ মিলি পাথর ব্যবহার করা হয়। এই কাজে যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে তা ৩ থেকে ৪ মিলির ঊর্ধ্বে নয়। তাছাড়া প্রিগ্রাবেল পাথরের সঙ্গে ডোমার বালু মিশিয়ে বিটুমিন তৈরি করা হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ মিলি সিলকোডের কাজ হতে পারে। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের ভাঙাচোরা অংশ ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়নি। রাতের বেলা টর্চ লাইটের আলোয় নিম্নমানের (ইরানি ৬০-৭০) বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া তিন কিলোমিটার দূর থেকে ওই বিটুমিন আনায় বিটুমিনের কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. আশফাক বলেন, সেমি গ্রাউটিং করার কথা ছিল না। অফিসের পরামর্শে অতিরিক্ত সেমি গ্রাউটিং করা হয়েছে। এ কারণে অফিসের নির্দেশেই ১২ মিলি সিলকোডের জায়গায় তা কমিয়ে করা হচ্ছে। এই কাজে কোনো ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়নি। নাটোর সড়ক ও জনপথ অফিস বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম জানান, 'সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিব।'