বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি

দুপুরে কারাগারে রাতে জামিন ২২ কর্মকর্তার

এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
  ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা চুরির ঘটনায় সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২২ কর্মকর্তাকে বুধবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানোর পর রাতেই জামিন এবং পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলহাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন তারা। এ ঘটনায় জামিনের বিষয়ে একটি মামলা হাইকোর্টে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এ বিষয়টি অবগত না থাকায় তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। পরে বিষয়টি জানতে পেরে জামিন বহাল রাখে আদালত। তবে ততক্ষণে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ায় তাদের রাতে জেলহাজত থেকে ছাড়া সম্ভব হয়নি।

মামলার আসামিরা হলেন-সাবেক ছয় এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। অন্যরা হলেন-সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী। বুধবার এই মামলার চার্জ গঠন ও জামিনের জন্য দিন ধার্য থাকায় আসামিরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উলেস্নখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা মূল্যের কয়লা চুরির অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উলেস্নখ করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ যাবৎ তারা জামিনে ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে