শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নে ধামাই বিল জলমহালকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ও সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিমুলবাক ইউনিয়নে ধামাই বিল জলমহাল নিয়া তেরহাল আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও তেরহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তেরহাল আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ধামাই বিল জলমহাল দ্বিতীয় বছরে মাছ আহরণকালে প্রতিপক্ষ তেরহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আলতাব আলীসহ তার সমিতির লোকজন বাধা দেয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় তেরহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আলতাব আলীসহ সমিতির লোকজন ধামাই বিল জলমহালের খলা ঘরে হামলা চালায়। এ সময় আহতরা হলেন- তেরহাল গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে মোশারফ মিয়া (৪০), মৃত আব্দুল বারির ছেলে নাজির আহমদ (২৪), সাহেব আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৩০), আজিজুর রহমানের ছেলে লিটন মিয়া (৩৭) ও জুয়েল মিয়া (৩৫), আরজ আলীর ছেলে অজুদ মিয়া (২৮), আব্দুল আজিজের ছেলে লিমন মিয়া (২২), তালেব আলীর ছেলে দিলোয়ার হোসেন (২৩) আহত হন। পরে তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহতদের দেখতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রতিপক্ষ তেরহাল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আলতাব আলীসহ সমিতির সদস্য আপ্তাব মিয়া ও সুরুজ মিয়া গংদের লোকজন নোয়াখালী ভীমখালী রাস্তায় জয়নুদ্দিনকে (৬০) এলোপাতাড়ি মারধর করে। গুরুতর আহত জয়নুদ্দিনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জয়নুদ্দিন তেরহাল গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেছেন।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Google News ফিড অনসরণ করুন
