আড়ানীতে নৌকার সমর্থক মামা-ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামানের দুই সমর্থককে বৃহস্পতিবার রাতে কুপিয়ে জখম করা হয়। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দুজনকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুজন হলেন আড়ানী পৌর এলাকার ৪ নম্বর নুরনগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান (৪৫) ও তার ভাগ্নে আরিফ হোসেন (৩০)। তাদের অভিযোগ, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বজলুর রহমানকে। বজলুর অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শহীদুজ্জামানের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের টাকা নিয়ে তিনি এবং তার ভাগ্নে আরিফ বাড়ি ফিরছিলেন। আরিফ তাকে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে বলছিলেন। তিনি তার সঙ্গে যাচ্ছিলেন। নুরনগর রাস্তার মোড়ের কাছে আসতেই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর ছেলে রাজুকে দেখেন। তার সঙ্গে মুক্তার আলীর সমর্থক আশিক, সজল, শরীফ ছিলেন। এ ছাড়া মুখ বাঁধা আরও চারজন ছিলেন। মুক্তারের ছেলের হাতে চায়নিজ কুড়াল, আশিকের হাতে ছুরি ছিল। তারা ওখানে কী করছেন, জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশিক তার বগলের নিচ দিয়ে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। তিনি পড়ে যান। পরে মুখ বাঁধা অন্যরা এসে উপর্যুপরি তার পিঠের ওপর চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন। তিনি মারা গেছেন ভেবে বালুর মধ্যে তাকে ফেলে চলে যান। এরপর হাসপাতালে এসে জানতে পারেন তার ভাগ্নের পেটেও আশিক ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীকে ফোন করা হয়েছে। তবে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থীকে ফোন করে তিনি জানতে পেরেছেন হামলার শিকার ও হামলাকারীরা পরস্পরের আত্মীয়। যারা আহত হয়েছেন, তারা নৌকার সমর্থক। আর যারা হামলা করেছেন, তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে হামলাকারীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাড়িতে তাদের পাওয়া যায়নি।