আবদুল কাদের মির্জার বসুরহাটে তাকিয়ে সবাই

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

আবু নাছের মঞ্জু, নোয়াখালী
শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন আজ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জামায়াতের স্থানীয় এক নেতা এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিরোধী পক্ষের এ দুই প্রার্থী নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে শংকা তাদের মুখেও। অন্যদিকে এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। যেকোনো মূল্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বদ্ধপরিকর তারা। সব মিলিয়ে সবার দৃষ্টি এখন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার দিকে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শঙ্কা : আবদুল কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। এনিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ দলের এমপি, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা, নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় প্রশাসন, এমনকি অন্য দলের একাধিক নেতাকে নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় তার বক্তব্যগুলো সাধারণ মানুষ ও সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বসুরহাট রূপালী চত্বরে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় আব্দুল কাদের মির্জা নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম বা গোলযোগ হলে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের পা ভেঙে রূপালী চত্বরে ঝুলিয়ে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর আশাবাদ : আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর। প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে। কোথাও কারও একটি পোস্টার পর্যন্ত ছেঁড়া হয়নি। মিটিং-মিছিলে কেউ কাউকে বাঁধা দেয়নি। তবে এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত অতীতের নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে ভোটের দিন এই পরিবেশটা থাকবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রশাসন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হলে জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।' স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মোশারফ হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ নিয়ে তা খুশি। নির্বাচনের দিন এ পরিবেশ থাকলে জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে এভিএমের মাধ্যমে বিরামহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৪৯৪ জন এবং পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ জন। প্রথম শ্রেণির বসুরহাট পৌরসভা আয়তন ৬.৫ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।