উত্তরে হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে

উত্তরাঞ্চলে মাঘের শুরুতেই মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা মিললেও বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এ কারণে শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চলবাসী। এদিকে, শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বদলগাছী, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং রংপুর বিভাগের অনেক এলাকায় শনিবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তরাঞ্চলের শীতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের আয়োজন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

মো. রফিকুল ইসলা
উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। চলছে শৈত্যপ্রবাহ। ছবিটি শনিবার সকালে বগুড়ার ধুনট উপজেলা থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা
ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। মাঝে-মধ্যে শীত আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো উপজেলা। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। শীতের কারণে সন্ধ্যা না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জনপদ। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা মিললেও বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর, ভবঘুরে, গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। অটোভ্যান চালক মতিউর রহমান বলেন, ঠান্ডার কারণে হাত-পায়ের রগ জড়ো হয়ে যায়। হাত দিয়ে হ্যান্ডেলও ধরতে পারেন না। রিকশা চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। টানাটানির সংসারে বাধ্য হয়ে অটোভ্যান নিয়ে কাজের জন্য বের হয়েছি। উপজেলার নান্দেড়াই গ্রামের কৃষক শওকত আলী জানান, 'বোরো চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন তারা। কিন্তু কনকনে শীত ও বৃষ্টির মতো শিশির ঝরার কারণে তাদের সেই বীজতলা প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বীজতলার উপরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।' একরামুল হক নামে এক দিনমজুর জানান, ঠান্ডার কারণে তারা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আজমল হক বলেন, 'তীব্র শীতের ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এসব রোগে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়াও কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া ও আমাশয়জনিত রোগীর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।' উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাঝে ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো কম্বল বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।