মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাঘের শীতে কাতর মানুষের সঙ্গে প্রাণিকুলও

ইউনুছ আলী আনন্দ
  ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

কুড়িগ্রামের ভারত সীমান্তঘেঁষা উপজেলা ফুলবাড়ীতে বিরাজ করছে মাঘের তীব্র ঠান্ডা। বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষের সাথে প্রাণিকুল। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ায় নিম্নআয়ের দিনমজুররা কাজে যেতে পারছেন না।

তীব্র ঠান্ডায় এখানকার গ্রামগঞ্জের মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গরম কাপড়ের

অভাবে তীব্র শীতে কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে।

স্থানীয় বালাটারী গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল হক হারা জানান, শুক্রবার-শনিবারের তীব্র ঠান্ডায় তারা যেন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। শিশুরা ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়ছে।

স্থানীয় কৃষক রজব আলী জানান, তিনি মাঘের ঠান্ডায় তার পরিবারের শিশু সদস্য এবং গৃহপালিত তিনটি গাভী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। মানুষের সাথে ঠান্ডায় কাতর হয়েছে প্রাণিকুলও।

দিনমজুর মন্তাজ আলী জানান, ঠান্ডায় তিনি কাজে যেতে পাচ্ছেন না। ঠান্ডার কারণে গৃহস্থরা কাজ দিচ্ছেন না। কষ্টের মাঝেও ঠান্ডা নিবারণে তিনি বাড়ির পাশে খড়কুটো দিয়ে আগুনের কুন্ডলি জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন।

গৃহিণী ছামিনা বেওয়া জানান, এবার ঠান্ডায় গ্রামের মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে। দিনের বেলা ঘরের বাইরে গাছগাছালির পাতা জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে তারা।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামে শুক্রবার ও শনিবারে তুলনামূলক হারে ঠান্ডা বেড়েছে। এ ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এখানকার স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি নয়। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে