ইচ্ছাপূরণের ভোট দিলেন 'শতবর্ষী' নবিরন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মৃতু্যর অপেক্ষায় থাকা ১১০ বছর বয়সি বৃদ্ধা নবিরন নেছা ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন নাতিকে সঙ্গে নিয়ে। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুনবহা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নবিরন নেছা ভোট দেন। নবিরনের দুই ছেলেও বেঁচে নেই। নাতিই তার দেখাশোনা করেন। চোখে কম দেখেন, কথাও ঠিক মতো বলতে পারেন না। ভাঙা ভাঙা গলায় নবিরন নেছা বলেন, 'বহুতদিন ভোট দেইনি, ভোটের কথা হুনে ভোট দিতে মন চাইল। তাই নাতিরে কইলাম, আমারে লইয়া চল, ভোট দিমু আমি।' কাকে ভোট দিলেন জানতে চাইলে মিষ্টি হেসে তিনি বলেন, 'কমুনা, তয় যারে দিছি হেই পুলাডা ভালা। আমার কাছে গেছিল ভোট চাইতে, তাই হেরেই আমি ভোট দিছি। দুয়া করি হে যেন জিইতা যায়।' তিনি আরও বলেন, 'শরীরডা ভালা না। কয়দিন বাঁচি ঠিক নাই, তাই মরণের আগে শেষ ভোট দিয়া গেলাম। আর হয়তো ভোট দিতে পারুম না, তাই মনের চাওয়া মিটাইলাম।' কনকনে শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে শনিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রেও ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে ১১.৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণির বোয়ালমারী পৌরসভার এ নির্বাচনে মেয়র পদে ২২ হাজার ২৯৭ জন ভোটারের সমর্থন নিতে লড়াইয়ে নামেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা লিপন (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র শুকুর শেখ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা কৃষক লীগের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন মৃধা (জগ)। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে ৩৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।