আজকের যায়যায়দিন

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর-চাপড়া সরমজানী ও চড়াইখোলা ইউনিয়নে যমুনেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১৪ গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। ছয় যুগেরও বেশি স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

রোববার সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে বাইসাইকেল, অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল যাতায়াত করছে। এই সাঁকোই ওই এলাকার একমাত্র চলাচলের ভরসা। বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিদিনই ঘটে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।

এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৫৫) অভিযোগ

করেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে নদী অতিক্রম করে আসছি। বর্ষা মৌসুমে যেন কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে নদীতে পড়ে যায় চলাচল করতে গিয়ে। অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এসে মাপজোক করে নেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।

গরমে বিদু্যতের চাহিদা বাড়ছে উৎপাদনে অনিশ্চয়তা

অপর এক পথচারী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বর্ষার আগে যাতায়াত সুবিধার জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে নগদ টাকা ও বাঁশ সংগ্রহ করে থাকেন। পরে সবাই মিলে সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

গৃহবধূ তানজিনা বেগম বলেন, এখানে ব্রিজ হলে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়। কোথাও যেতে হলে সহজে যানবাহন পাওয়া যায় না। সহজে কেউ আসতে চায় না। এলাকাটিও পিছিয়ে রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। পাস হয়ে এলে দ্রম্নত কাজ শুরু করা হবে।