শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বইমেলার তারিখ নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

রোববারের বৈঠকেও চূড়ান্ত করা যায়নি অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ। এদিকে চলমান মহামারির কারণে সিদ্ধান্তহীনতায় মেলার তারিখ কয়েকবার পিছিয়েছে আয়োজক কমিটি। সর্বশেষ মার্চের ১৭ তারিখ মেলা আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল (রোববারে) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এবার সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেলার আয়োজনের তারিখ নির্ধারণে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

রোববার গ্রন্থমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বা টিকা দেওয়া শুরু হলে আমরা কীভাবে দ্রম্নত সময়ে বইমেলা শুরু করতে পারি, সেই প্রস্তুতি নেওয়া জন্য আমাদের এই বৈঠক ছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বইমেলা সরাসরি হবে, ভার্চুয়াল বইমেলা নয়। তবে সময়টা আমরা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি।

কেএম খালিদ বলেন, পহেলা ফেব্রম্নয়ারি থেকেই বইমেলা শুরু করার ভাবনা তাদের ছিল, কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি ওপেন প্রস্তাব পাঠাব; ২০ ফেব্রম্নয়ারি, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ থেকে বইমেলা শুরু করা যায় কি-না। কেননা ১২ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হয়ে যাবে। রোজার আগেই আমরা বইমেলা শেষ করতে চাই।

২০ ফেব্রম্নয়ারি থেকে বইমেলা শুরু করা সম্ভব কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে এলে বা ভ্যাকসিন চলে এলে ওই সময়ে বইমেলা শুরু করা সম্ভব। যদিও একটু কঠিন হবে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে না এলে মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছি আমরা। তবে কোভিড খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই এটা আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে। তখন আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বই মেলার আয়োজনের চেষ্টা করব।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুলস্নাহ সিরাজী বলেন, সম্ভাব্য তিনটি তারিখের সঙ্গে আমরা একমত। এখন ২০ ফেব্রম্নয়ারি শুরু করা যায় কিনা, সেটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার বা সম্মতির উপরে।

বইমেলার সঙ্গে বাংলা একাডেমি, সংস্কৃতির মন্ত্রণালয় ও প্রকাশকরা জড়িত থাকলেও এ বছর অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোও বিশেষভাবে যুক্ত হয়ে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে আমরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চেষ্টা করব একুশের চেতনাকে ধরে ২০ ফেব্রম্নয়ারিতে মেলাটা শুরু করার। এটি আমাদের জন্য কষ্টকর হলেও সার্বিক বিবেচনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সবকিছুই নির্ভর করবে পারস্পারিক সমঝোতার উপরে।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এর আগেও কয়েক দফা মিটিং করে বলেছি, যেহেতু এবার বিশেষ পরিস্থিতি, প্রয়োজনে বইমেলা মার্চ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে মার্চের মধ্যেই বইমেলা শেষ করতে হবে এবং বইমেলা হতে হবে ফিজিক্যাল বইমেলা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে