পৌর কর্মচারীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পরিষদ বাতিল :এলজিআরডিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আইন অনুযায়ী দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে। দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারেন না। যে সব পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে 'স্ট্রেংদেনিং দ্য আরবান লোকাল গভর্নমেন্টস্‌ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিলস্নুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না- এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। করোনা মহামারির সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কেউ জবাবদিহিতার বাহিরে নয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোদেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে। ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।