সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সেচ খরচ হ্রাস ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বর্তমান সরকার সবসময়ই কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধু সেচের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নিয়েছিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তিনি নগদ ভর্তুকি ও সহজশর্তে ঋণ দিয়ে কৃষকের মধ্যে সেচযন্ত্র বিক্রির ব্যবস্থা করেন। জার্মানি থেকে জরুরিভিত্তিতে পানির পাম্প এনেছিলেন। সে ধারা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারও সেচের আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও সেচ খরচ কমাতে নিরলস কাজ করছে। রোববার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বিএডিসি অডিটরিয়ামে 'ভূগর্ভস্থ পানি মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএডিসি 'ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নে জরিপ ও পরিবীক্ষণ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের' আওতায় এ সেমিনারের আয়োজন করে। বিএডিসির তথ্যে বলা হয়েছে, গত দশ বছরে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে খাল পুনঃখনন করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার, সেচনালা স্থাপন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৫১ কিলোমিটার এবং ১০টি রাবার ড্যাম ও একটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে ৫৬ লাখ ২৭ হাজার হেক্টরে সেচ এলাকায় দক্ষতা ৩৫ শতাংশ হতে ৩৮ শতাংশ এবং ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ২১ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। আর সারাদেশের সেচযোগ্য জমির ৭৩ শতাংশ সেচের আওতায় এসেছে। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুলস্না খান, প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর উলস্নাহ ও বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. আরিফ প্রমুখ।