আজকের যায়যায়দিন

আদালতের জরিমানার অর্থ আদায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন বগুড়ার জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার এস এম জাকির হোসেন। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি মামলাটি দ্রম্নত নিষ্পত্তি করতে এবং মামলার অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান মোলস্নার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান।

এর আগে নেগোসিয়েবল ইন্সটুমেন্টের মামলায় দুদু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ১৪ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বগুড়ার আদালত। পরে তিনি ছয় মাস সাজা খেটে কারামুক্তি পান। তাকে জরিমানা করা অর্থ আদায়ের জন্য তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়। সে মামলায় নতুন করে ওয়ারেন্ট জারির পর দুদু মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই মর্মে দুদু মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বগুড়া জেলার সার্টিফিকেট অফিসার।

১৫ দিনে ৩৬৭ মৃতু্য / এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে

এরপর ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন এবং এর বৈধতা নিয়ে রুলও জারি করেন।

একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই সার্টিফিকেট অফিসার এসএম জাকির হোসেনকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে মুক্তি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ জারি করা হয়।নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় রোববার জাকির হোসেন হাইকোর্টে হাজির হন এবং তার কার্যক্রমের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।