জগন্নাথে ঢাবি ছাত্রকে মারধর ছাত্রলীগের

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের এক শিক্ষাথীের্ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছাত্রলীগের একদল নেতাকমীর্র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচাযর্ ভবনের ৫০০৫ নম্বর কক্ষে মারধরের শিকার এই শিক্ষাথীর্ হলেন দশর্ন বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র ছাত্র অনিন্দ্য মÐল। তার সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজীব কুমার দাসও হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার শিক্ষাথীর্ অনিন্দ্যের সাথে ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করলেও রাজীবকে মারধরের বিষয়ে ‘জানেন না’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি ছাত্রলীগ থেকে ছাত্র ইউনিয়নে এক ছাত্র যোগ দিতে চাওয়ায়, ঠিক মারধর না, একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শোনার সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ ধরনের ঘটনা আমাদের কাম্য না। কেউ দোষী থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনিন্দ্য ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে পরশু একটা মিছিলে গিয়েছিল। এ কারণে ছাত্রলীগ নেতাকমীর্রা তার রুমে গিয়ে ওর ট্রাংক, বইপত্র ও সাটিির্ফকেট অক্টোবর ভবন থেকে সন্তোষ চন্দ্র ভবনের একটা রুমে নিয়ে আসে। আমিসহ অনিন্দ্য সেগুলো আনতে গেলে ছাত্রলীগের সেকেন্ড ইয়ার ও ফাস্টর্ ইয়ারের ছেলেরা আমাদের মারধর শুরু করে।’ অনিন্দ্য সাংবাদিকদের বলেন, আমার রুমে দুইদিন আগে এসে ওরা আমার সব জিনিসপত্র নতুন ভবনের ৫০০৫ নম্বর রুমে নিয়ে যায়। আমি ওগুলো আনতে রাজিবদাসহ যাই। তখন ওরা আমাদের রুমের ভেতর ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে লাইট অফ করে দেয় আমাকে তো করেই, তাকেও মারধর করে। অনিন্দ্য মারধরের জন্য গণিত দ্বিতীয় বষের্র ছাত্র অনুপম বৈরাগী, ক্রিমিনোলজির প্রথম বষের্র চিন্ময় বমর্ণ ও কিষাণ চন্দ্রসহ ১২-১৫ জনকে দায়ী করেন। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, যেহেতু মারধর করেছে, তাহলে তারা অবশ্যই অপরাধ করেছে। আমরা এই বিষয়ে খেঁাজখবর নিয়ে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।