প্রাণস্পর্শী হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ

মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি

রিষার আবাদ এবার ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জরণে মুখরিত হয়ে উঠেছে গ্রামবাংলা। পাবনা জেলাসহ তিন উপজেলা ডিমলা (নীলফামারী), মহাদেবপুর (নওগাঁ) ও বোচাগঞ্জের (দিনাজপুর) সরিষার আবাদ নিয়ে আমাদের এই আয়োজন

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বাদশা সেকেন্দার, ডিমলা (নীলফামারী)
দিগন্তজুড়ে সরিষার হলুদ রঙে নীলফামারীর ডিমলার প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। চারপাশে হলুদের সমারোহে মৌমাছিরা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে মধু আহরণে। আমন ধান কাটার পর বোরো ধানের চারা রোপণের মধ্যবর্তী সময় কৃষকরা আবাদ করেন লাভজনক সরিষা। মধ্যবর্তী সময় সরিষার আবাদ অনেক কৃষককেই করেছে উৎসাহী। কৃষি বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক কুমার রায়ের পরামর্শে এই ফসল আবাদ করেছেন কৃষকরা। ৩০ শতাংশের হবিঘা জমি আবাদে নিড়ানি, সেচ, সার, কাটা-মাড়াইয়ে খরচ পড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। ১০০-১২০ দিনের এই ফসলে প্রতি বিঘায় ফলনও আসে সাত থেকে আট মণ। যা বিক্রি করে কৃষকের ঘরে উঠে ১৬-২০ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে মুনাফাও হয় আশাতীত। এ ছাড়া জমিতে ঝড়েপড়া সরিষা ফুল ও পাতায় জমিও হয় বেশ উর্বর। সরিষা কাটা-মাড়াইয়ের পর ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করলে সামান্য রাসায়নিক সার প্রয়োগে ফলন ভালো হয়। কমে আসে উৎপাদন খরচও। ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। তিনি কয়েক বছর ধরে সরিষা আবাদ করেন। নিজ জমিতে আবাদি সরিষার তেল খান। সারাবছরের তেল খেতে যে সরিষা লাগে, তা রেখে বাকিটা বিক্রি করেন। এতে তার ভালো মুনাফা হয়। সরিষা বিক্রির মুনাফার টাকা দিয়ে তিনি বোরো ধানের আবাদ করেন। এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, গত বছর ডিমলা উপজেলায় ৫৯৯ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। এবার ৭৬০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৯টি পরিবারকে এক কেজি করে সরিষার বীজ প্রদান করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।