শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোহিত হত্যাকান্ড : পুলিশ

ম যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগকর্মী আশিকুর রহমান রোহিত হত্যার পেছনে নির্বাচনী বিরোধ নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। মামলার দুই আসামি মো. মহিউদ্দিন (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম বাবুকে (২১) গ্রেপ্তারের পর সোমবার নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'নির্বাচনী বিরোধের কারণে রোহিত খুন হয়নি। এলাকাভিত্তিক ক্লাবের আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটে। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম বাবু ও পলাতক সাহাবুদ্দিন সাবু তাকে ছুরিকাঘাত করে, যার পরিকল্পনাকারী ছিলেন মহিউদ্দিন। এর আগে রোববার ঢাকার মুগদার মাদারটেক নিউ মদিনা আবাসিক এলাকা থেকে মহিউদ্দিন এবং মিরপুর থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত-উত্তাপের মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি ছাত্রলীগকর্মী রোহিতের মৃতু্য হয়। নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রোহিতকে (২০) গত ৮ জানুয়ারি বিকালে দেওয়ানবাজার ভরাপুকুরপাড় সংলগ্ন কেডিএস গলি এলাকায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।

হামলার পরদিন তার বড় ভাই জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে মহিউদ্দিন, বাবু ও সাহাবুদ্দিন সাবুকে (২৬) আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

উপকমিশনার মেহেদী বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোহিত তার বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানেও তিনি এই তিনজনের নাম বলেছেন।

'হামলা করেই মহিউদ্দিন, বাবু ও সাবু পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার এড়াতে মহিউদ্দিন তার দাড়ি কেটে ফেলেন আর বাবুও চলাফেরা পরিবর্তন করে ফেলে। তারা ঢাকায় অবস্থান করে সেখান থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।'

এদিকে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, সোমবার মহিউদ্দিন ও বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে