মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধামরাইয়ে বংশী নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন সেতু

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
ঢাকার ধামরাইয়ের বংশী নদীর ওপর নির্মিত সেতু -যাযাদি

ঢাকার ধামরাইয়ের বংশী নদীর ওপর নির্মিত কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন সেতুই বদলে দিচ্ছে এলাকাটিকে। সেতুর ফলে যাতায়াতের সুব্যবস্থা, অল্প সময় গন্তব্যে পৌঁছানো, জমির দাম বৃদ্ধি, এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে এলাকার চিত্র। ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান কুলস্না ফোর্ডনগর সোমভাগের চাপিল, চৌহাটের রাজাপুরসহ কয়েকটি সেতু অন্ধকার থেকে আলোর সন্ধান দিয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

জানা গেছে, এক সময় ধামরাইয়ে যাতায়াত ও উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে ছিল বংশী নদী। নদীর কারণে লাখ লাখ মানুষের গন্তব্যে যেতে সময় লাগত অনেক। এখন সেতু নির্মাণ হওয়ায় স্বল্পসময় গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে ওইসব এলাকায় উন্নয়নের দ্বার খুলেছে। পরিবর্তন ঘটেছে মানুষের ভাগ্যের।

উপকারভোগীরা জানান, সেতু ও রাস্তার অভাবে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া, বাইশাকান্দা পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, রোয়াইল, নান্নার, শুয়াপুর, কুলস্না ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরসহ কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে ছিল। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল। বংশী নদীর ওপর নির্মিত সেতুগুলোই তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এভাবেই শুধু কাকরান ফোর্ডনগর নয়; ধামরাইয়ের চাপিল, বাস্তা, বালিয়া, চৌহাটসহ বেশ কয়েকটি সেতু এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নও ঘটেছে ওইসব এলাকায়।

তবে কাকরান সেতুটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী আজিজুল হক।

ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, ভাড়ারিয়াবাসীর স্বপ্নের সেতুর নাম কাকরান সেতু। এই সেতুই বদলে দিচ্ছে ইউনিয়নবাসীর ভাগ্য।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র গোলাম কবির জানান, ধামরাইয়ে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন কাকরান সেতুর ফলে সাভার আশুলিয়ার সঙ্গে সেতুবন্ধন হয়েছে ধামরাইবাসীর।

এমপি বেনজীর আহমদ জানান, ধামরাইয়ে পাঁচ বছরে ৫০ বছরের উন্নয়ন কাজ হবে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে