দেশকে নতজানু করে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে :ফখরুল

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মির্জা ফখরুল ইসলাম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে নতজানু ও দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। ক্ষমতাসীন সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করছে। এ পরিকল্পনাকে রুখে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দলের এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম কমিটির উদ্যোগে জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধ্যান-ধারণা শীর্ষক এই ওয়েবিনার হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অনুভূতি যতই প্রবল হবে, ততই জাতি হিসেবে শক্তিশালী হওয়া যাবে। তাই এখন সেস্নাগান একটাই- 'আমরা শৃঙ্খলিত হতে চাই না, আমরা মুক্ত হতে চাই এবং মানুষকে এ অবস্থা থেকে বাঁচাতে চাই।' জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে মানুষকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, যারা আজকে জিয়াউর রহমানকে ভুলিয়ে দিতে চান, তার সম্পর্কে বিকৃত তথ্য, বিকৃত ইতিহাস জনগণের সামনে তুলে ধরতে চান, নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চান সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। তাই ইতিহাসে যার যে অবদান সে অবদানকে স্বীকার করুন। অন্যথায় আপনারা যেটাকে মহান করে তুলে ধরতে চান, সবচেয়ে বড় এবং একমাত্র নেতা হিসেবে দেখাতে চান তাকেও কিন্তু খাটো করা হয়। জিয়াউর রহমানের যেটা প্রাপ্য সেটা তাকে অবশ্যই দিতে হবে। শহীদ জিয়া বাংলাদেশের রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার ডাকেই মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে এসেছিল। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। একেবারে হতাশায় নিমজ্জিত একটা জাতিকে তিনি একটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন এবং কর্মে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। এটা বাস্তবতা এবং তারই ফলে আজকে বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়েছে তার ভিত্তিটা তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা জাতিকে তিনি একটা পরিচিতি দিতে পেরেছিলেন। সেজন্য আজকে জাতি এই জায়গায় এসেছে এবং লড়াইটা করছে। কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ইসমাইল জবিহউলস্নাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তহিদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জজ ইকতেদার আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সিলেট বিভাগ সমন্বয় কমিটির সভা হয় সিলেটে। সেখানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কমিটির সদস্যরা ছিলেন।