দুই তদন্ত কমিটি

কাশিমপুর কারাগারে পুরুষ বন্দির সঙ্গে নারীর একান্ত 'ভিডিও ভাইরাল'

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
করোনা মহামারির সময় কারাগারে কোনো দর্শনার্থীর বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা হলেও তা উপেক্ষা করে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের কর্মকর্তা (মহাব্যবস্থাপক) তুষার আহমদের সঙ্গে সম্প্রতি এক নারীর একান্তে অবস্থান করার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ফুটেজটি প্রকাশিত হলে তা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই ফুটেজে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারের প্রবেশের মধ্যে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামাকাপড় পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের কারাগারে অবস্থানকালে ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগার কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে। তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। অনুমানিক এর ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম বলেন, ওই ঘটনায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. আবরার হোসেন জানান, ২১ জানুয়ারি তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তার সঙ্গে উপ-সচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) মো. আবু সাঈদ মোলস্নাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. আবরার হোসেন আরও জানান, ঘটনার তদন্তকালে ওই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিষয়টি জানানো হবে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর জেল সুপার রত্না রায় ফোন রিসিভ করেননি। ওই কারাগারের জেলার নূর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে, তাই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।