প্রতি হাজারে সাতজন চমের্রাগে আক্রান্ত

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশে প্রতি হাজারে সাতজন ব্যক্তি চমের্রাগে আক্রান্ত। তাই জীবাণুবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ করার কোনো বিকল্প নেই। রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চমর্ ও যৌনব্যাধি বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী লাউঞ্জে চমের্রাগ বিষয়ে সবের্শষ অগ্রগতি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে আধুনিক ডামাের্টালজি সাজাির্র ও রোগীদের মধ্যে সোরিয়াসিস রোগের প্রবণতা, কুষ্ঠ রোগের জটিলতা ও চিকিৎসার সবের্শষ অবস্থার পাশাপাশি ছত্রাক জাতীয় চমের্রাগের চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। এ সময় বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতি এক হাজার জনে সাতজনের সোরিয়াসিস রোগের প্রবণতা রয়েছে। কুষ্ঠ রোগের ক্ষেত্রে জানানো হয় দেশে বতর্মানে কুষ্ঠ রোগের কাযর্কর চিকিৎসা রয়েছে। সমস্যা উত্তরণের সুপারিশ হিসেবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, সোরিয়াসিস, লেপরোসিস-সহ (কুষ্ঠরোগ) অন্যান্য জীবাণুবাহিত চমের্রাগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য যথাথর্ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এজন্য প্রয়োজন চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের নিরন্তর গবেষণা ও চিকিৎসাসেবায় মনোনিবেশ। তাছাড়া ছত্রাক জাতীয় চমের্রাগের চিকিৎসা, লেজারের মাধ্যমে চিকিৎসা ও কসমেটিক সাজাির্রর ক্ষেত্রে চমের্রাগ বিশেষজ্ঞদের সতকর্ হয়ে রোগীদের যৌক্তিকভাবে সেবা দিতে হবে। অন্যদিকে কারো চমের্রাগ হলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামশর্ ছাড়া ওষুধ সেবন করা যাবে না। কারণ অপচিকিৎসা, ভুল চিকিৎসা, হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে অবৈজ্ঞানিক ওষুধ সেবন ও অপ্রয়োজনীয় লেজার সাজাির্রর কারণে রোগীর অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় রোগীর শরীরে ওষুধের কাযর্কারিতা হ্রাস পাওয়ায় রোগ নিরাময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেমিনারে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচাযর্ চমর্ ও যৌনব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডামাের্টালজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম সেরাজুল ইসলাম। পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক সেকশন পেনেল এক্সপাটর্ হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক এজেডএম মাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক এম এ ওয়াদুদ, অধ্যাপক এম ইউ কবির চৌধুরী, অধ্যাপক আগা মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।