চট্টগ্রামের কণর্ফুলীর জনসভায় কাদের

১০ বছরে ১০ দিন আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

চট্টগ্রাম অফিস
চট্টগ্রামের কণর্ফুলীতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের Ñযাযাদি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিগত দশ বছরে ১০ দিন মাঠে আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। এখন স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতায় যাওয়ার। ১০ বছরে বিশটি ঈদ চলে গেছে, কিন্তু আন্দোলনে নেই তারা। আন্দোলনে না পেরে বিএনপি কোটা আন্দোলনে ভর করেছে। পরে ছাত্রদের কঁাধে ভর করেছিল। সে সময় তারা ভিডিও প্রচার করে গুজব ছড়িয়েছিল। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের শিকলবাহা ক্রসিং এলাকায় কণর্ফুলী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার, আর বিএনপি দিয়েছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। মানুষের হাতে হাতে মোবাইল দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে সব উন্নয়ন হয়েছে তাকে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় ঐক্যের নেতাদের উদ্দেশ করে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। যেটা হয়েছে সেটি ‘জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য’। জাতীয়তাবাদী সা¤প্রদায়িক ঐক্যে গ্রহণযোগ্যতা নেই। তারা নেতায় নেতায় ঐক্য করে, ৩০ দলের ৩০ নেতা। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। তাদের জন্য সোহরাওয়াদী ময়দান উন্মক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সেখানে যায়নি। শুধু নাট্যমঞ্চে যায়। চট্টগ্রামের জনসভায় সাধারণ মানুষের যে ঢল নেমেছে ঢাকায় বিএনপি একটি সমাবেশেও এতো লোক হয়নি। কণর্ফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্র্র্র্র্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মাহমুদ এমপি, আবদুল মতিন খসরু এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্ট্রার মহিবুল হাসান চৌধুরী, ভ‚মিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। কণর্ফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, ওয়াসিকা আইশা খান এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আমম টিপু সুলতান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লুবনা হারুন প্রমুখ। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত সব সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে। তারা উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চায়। জনগণ উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে চায়, কোনো দুনীির্তবাজকে চায় না। আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা গলা ধাক্কা দিয়ে আপনাকে বের করে দিয়েছে তাদের পক্ষে কথা বলা আপনার মুখে মানায় না। এর থেকে বুঝা যায় আপনি ক্ষমতা লোভী। আন্দোলনের নামে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। নিবার্চনের মাধ্যমে দেখা যাবে জনগণ কাকে চায়।’ ধানমÐির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কাযার্লয় থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় এ সফর শুরু করে ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে ফেনীতে পথসভা করে দলটি। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সাকির্ট হাউজে এসে পৌঁছলে চট্টগ্রাম সিটি কপোের্রশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানান। গতকাল সকাল ১০টায় সাকির্ট হাউজ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ি বহর রওনা হয়ে কণর্ফুলী শিকলবাহা ক্রসিংয়ের জনসভা শেষ করে পটিয়া হয়ে লোহাগাড়া চুনতি মেহেরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুধী সমাবেশে যোগ দেন।