বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
স্টিয়ারিং কমিটির সভা

বিদু্যৎ আমদানিতে ভারতের ভ্যাট অব্যাহতি চায় বাংলাদেশ

সভায় ভেড়ামারা ও বহররমপুর ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদু্যৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার পাশাপাশি এর দ্বিতীয় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ভারত থেকে বিদু্যৎ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনজনিত আর্থিক সংশ্লেষের উদ্ভব হলে তা থেকেও অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদু্যৎ রপ্তানিসহ ভারতের বিদু্যৎ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত গাইডলাইন ও রেগুলেশনের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।

শনিবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে বিদু্যৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। রোববার বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদু্যৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদু্যৎ সচিব সঞ্জীব নন্দন সাহাই। সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদু্যৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বিদু্যৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপের ১৮তম সভা গত বছর মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরবর্তী সভা আগামী জুলাইয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ভেড়ামারা ও বহররমপুর ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদু্যৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার পাশাপাশি এর দ্বিতীয় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদু্যৎ রপ্তানিসহ ভারতের বিদু্যৎ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত গাইডলাইন ও রেগুলেশনের বর্তমান অবস্থা, ভারত থেকে বিদু্যৎ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি উভয় পক্ষ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।

স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআরের নেপালে উৎপাদিত জলবিদু্যৎ ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতি এবং ভুটানে জলবিদু্যৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এ ছাড়া সভায় রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি সত্ত্বেও মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে বিদু্যৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে