সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোট চায় মহিলা পরিষদ

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০১

যাযাদি রিপোটর্
সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোট না হওয়ায় নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন আটকে আছে বলে দাবি করেছে মহিলা পরিষদ। রোববার মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক নেতারাও সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নিবার্চনের পক্ষে অবস্থান প্রকাশ করেন। ‘জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন নয়, নিবার্চন চাই’ শীষর্ক এই সভায় মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নিবার্চনের বিষয়টি নারীর ক্ষেত্রে এখনো আসেনি। এর ফলে নারীরা ক্ষমতায়িত হচ্ছে না এবং রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আসতে পারছে না। ‘নারীরা কি শুধু সংরক্ষিত আসনেই থাকবে, না দলের নেতৃত্বে থেকে মূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে এই বিষয়টি আজ রাজনীতির এজেন্ডায় আসা উচিত। বাংলাদেশে সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন প্রথমে ছিল ১৫টি; পরে তা বাড়তে বাড়তে এখন ৫০টি। সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনে নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানোর সময় নারী সংগঠনগুলো সেখানে সরাসরি নিবার্চনের দাবি তুললেও তা উপেক্ষিত হয়। আয়শা খানম বলেন, কারও মতামত ছাড়াই হঠাৎ করে জাতীয় সংসদে পাস করে নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্পূণর্রূপে ব্যাহত করেছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সংরক্ষিত আসনে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ করা দরকার বলে মতপ্রকাশ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেষ্টা করেছে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এবং এর ফলে বেশকিছু ইতিবাচক পরিবতর্নও হয়েছে। সরাসরি নিবার্চন নারীরা করবে, তাতে কোনো দ্বিমত নেই। তবে যাকে সুযোগ দেয়া হবে, সেই ক্ষেত্র তাদের কাজে লাগাতে হবে। দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী হলেও দেশের সামগ্রিক কাঠামোকে নারীবান্ধব করতে হবে।’ জাতীয় উন্নয়নের স্বাথের্ সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোট প্রয়োজন বলে মনে করেন কমিউনিস্ট পাটির্র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, ‘হাজার বছর ধরে যাদের বঞ্চনা করে পেছনে ফেলা হয়েছে, তাদের জন্য যদি ইতিবাচক বৈষম্যের সুযোগ না দিয়ে সামনে না আনা হয়- তাহলে এই বৈষম্য থেকে যাবে। পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেয়াটা ক্ষমতায়নের সঙ্গে সম্পকির্ত। সেজন্য নারীদের যার যার অবস্থান থেকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।’ বিদ্যমান ব্যবস্থার সমালোচনা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘যে নারী প্রতিনিধিরা সংসদে বসছেন, তারা নারীদের ভোটে নয়, জনগণের ভোটে নয়, এমনকি রাজনৈতিক দলের ভোটেও নয়; যারা জাতীয় সংসদে নীতিনিধার্রণী পযাের্য় আছেন, তাদের ভোটে তারা নিবাির্চত হন। এটা কখনও নারীর প্রতিনিধিত্ব হতে পারে না।