শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তারা 'সতিন' তবে...

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

'সতিন' মানেই খল চরিত্র, ঝগড়াটে বা খারাপ কিছু বোঝায়-এমনটি গল্প-উপন্যাসে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা গেল বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এক প্রার্থীর ক্ষেত্রে। ওই নির্বাচনে মাজেদা বেগম ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মাজেদার জয়ের জন্য তার দুই সতিন দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

গতবারের পৌর নির্বাচনের কৌশল এবারও কাজে লাগিয়েছেন মাজেদা। চার সতিনের সংসারে তিনিসহ তিনজন এক হয়ে এবারও প্রচারণায় নেমেছেন। সঙ্গে আছেন তাদের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুস সামাদ মাস্টার। গত পৌর নির্বাচনে এ কৌশলে মাঠে নেমেই বিজয়ী হয়েছিলেন মাজেদা।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪৯৫ জন। তৃতীয় ধাপে আগামী ৩০ জানুয়ারি এ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মাজেদার প্রতিদ্বন্দ্বী আরও দুইজন রয়েছেন।

এদিকে তিন সতিন একই সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় বিষয়টি ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, আব্দুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তবে এতে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি টাকা ও পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। মাজেদা বর্তমানে ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। গতবারও একইভাবে প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করেছিলেন মাজেদা।

প্রার্থীর মেজো সতিন মিনু বেগম বলেন, 'আমাদের আলাদা আলাদা হাঁড়ি। কিন্তু সবাই আপন বোনের মতো। শুধু ভোট নয়, সব সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াই।'

প্রার্থী মাজেদা বেগম বলেন, 'সতিন মানেই মনে করা হয় শত্রম্ন। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি সৌভাগ্যবান। সতিনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।'

মাজেদার স্বামী আব্দুস সামাদ বলেন, 'আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারেন। আর তাদের এ মধুর সম্পর্কের কথা ভোটাররা জানতে পেরে সবাই অনেক খুশি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে