বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মহাসড়কে ঝুঁকি

ফগ লাইট ব্যবহার করার পরামর্শ

চান্দিনা (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

শীতের তীব্রতার সঙ্গে পালস্না দিয়ে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা চারদিক ঘিরে ফেলে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় মাঠ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক। এমন ঘন কুয়াশার মধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থবির হয়ে পড়েছে যান চলাচল। সপ্তাহের শুরুতেই বেড়েছে কুয়াশার তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে গেছে মহাসড়কের চারপাশ। ফলে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও।

রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত কুমিলস্না অংশে সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও ঘন কুয়াশায় বোঝার উপায় ছিল না, দিন আর রাতের ব্যবধান।

বিশেষ করে মহাসড়কের যেসব এলাকায় গাছপালা নেই বা আশপাশে বাড়ি-ঘর নেই সেসব নির্জন জায়গায় কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশে বড় জলাশয়গুলোয় ঘন কুয়াশায় মহাসড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। সেসব এলাকায় ফগ লাইটও কাজে আসছে না।

কক্সবাজার থেকে ফেরা শ্যামলী পরিবহণের চালক জানান, রাত ১১টায় কক্সবাজার থেকে রওনা দিয়েছি। অন্য সময় কুমিলস্না আসতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আজ ১০ ঘণ্টা পর কুমিলস্না পৌঁছেছি। যেখানে ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসতাম এখন ৪০ কিলোমিটার গতিতে চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। এমন কুয়াশা ফগ লাইট জ্বালিয়েও ১০-১৫ ফুট সামনেও তেমন ভালো দেখা যায় না।

হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) সালেহ্‌ আহমেদ জানান, 'ফাঁকা জায়গাগুলোয় কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে। চালকরা তখন সড়কের পাশে সাইড লাইন বোঝা যায় না। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কখনো রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগছে আবার কখনো সাইডলাইন অতিক্রম করে গাড়ি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। এখন পর্যন্ত এ এলাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা গাড়ি চালকদের ফগ লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।'

হাইওয়ে পুলিশ কুমিলস্না অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোলস্না মোহাম্মদ শাহিন জানান, তীব্র কুয়াশার দুর্ঘটনা রোধে সামনে দেখার জন্য যেমন ফগ লাইট ব্যবহার জরুরি, তেমনি পেছনের চালকরাও গাড়ি দেখার সুবিধার্থে ব্যাকলাইট জ্বালিয়ে রাখাও গুরত্বপূর্ণ। এসব নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে