শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
রোববার গভীররাতে পিরোজপুরের শহরতলীর কুমারখালী সিকদার বাড়ি এলাকায় চুরি মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সদর থানার চার সাব-ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর থানার এসআই সৈকত হোসেন সানি, এসআই মাহামুদুল হাসান, এসআই মো. খাইরুল হোসেন, এএসআই সাইফুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মো. মারুফ হাওলাদার। এসময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাসান শিকদার আহত হন।
পুলিশ এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নবনির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু শিকদারের ২ ছেলেসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় কুমারখালী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার রাত একটায় চুরি মামলার আসামি কুমারখালীর আনোয়ার শিকদারের ছেলে হাসান শিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পিরোজপুর পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু শিকদার বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আসামি ছিনিয়ে নিতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এদিকে ওই কাউন্সিলর আবু শিকদার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার জড়িত কিছু লোকজন এবং গ্রেপ্তারকৃত হাসানের আত্মীয়স্বজন নিয়ে থানায় উপস্থিত হলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে এবং ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, গুরুতর আহত পুলিশ দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার ১৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি ও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় মামলা হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক আজিজুলাহ জানান, রাত ২টার পরে আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া দুজন আসামিকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
Google News ফিড অনসরণ করুন
