ফেব্রম্নয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল খুলছে -গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাধিক শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে। এজন্য সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তালিকা পাঠিয়েছি। ধাপে ধাপে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। বিদ্যালয় খোলার আগে বা পরে শিক্ষকদের টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার তাদের এ আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান মন্ত্রী। জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আগামী ৪ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে ক্লাস নেওয়ার উপযোগী করে তুলতে বলা হয়। আমরা ফেব্রম্নয়ারির যে কোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হলেও আগের মতো একসঙ্গে সবার ক্লাস নেওয়া হবে না। একাধিক শিফট করে ক্লাস নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে। অন্য শ্রেণিগুলোর ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। সব বিদ্যালয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ?শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নিয়মিত স্স্নিপের (বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ) অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসতে চাইছে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠাতে অভিভাবকদের সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ক্যাম্পেইন হিসেবে ভিডিও করে প্রচারণা ও কার্টুন তৈরি করে তা টিভিতে প্রচার করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।