চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন :রিজভী

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের নামে চরম সহিংসতার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন। বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ দেওয়ার পর রিজভী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময়ে চসিক নির্বাচনের প্রথম তিন ঘণ্টার ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত চিত্র সিইসিকে দেওয়া হয়। রিজভী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে সহিংসতা শুরু হয়। নির্বাচনী সহিংসতায় দুজনের মৃতু্যসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন, তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর বলছে- তারা কিছু করতে পারবে না। মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কার্যালয়ের যৌথ প্রযোজনায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন নামক শব্দটি মানুষের কাছে অচেনা হয়ে যাবে। এরা ভোটারদের ভোটাধিকার মনে প্রাণে ঘৃণা করে। এরা বিরোধী দল, ভিন্ন মত, সমালোচনার ভয়ংকর শত্রম্ন। তাদের আমলে শঙ্কা ও ভয় জনগণকে ঘিরে থাকে। মূলত এদেশের জনগণ বন্দিশালায় বন্দি। জালিমশাহীর রাজত্বকেও হার মানিয়েছে। এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে হত্যাকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য যত ধরনের কলা-কৌশল আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা একসঙ্গে মিলে সেই কাজটি করেছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদের মতো কাজ করছে। ভোট ডাকাতিতে প্রশাসন যন্ত্র ও রাষ্ট্রযন্ত্র মিলে একাকার হয়ে গেছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা সরাফত আলী সপু, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।