মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর
  ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় জনসাধারণের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার কথা বলছে বলছেন আবহাওয়া অফিস। অপরদিকে ঘন কুয়াশার ফলে আলু চাষিরা চিন্তায় পড়ে গেছেন।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবারে ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রোববারে ছিল ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্য সময়ে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানাম করলেও এখন ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি কমেছে। এ অঞ্চলে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ অন্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ অবস্থা আরও দুই তিনদিন স্থায়ী হতে পারে বলে তিনি জানান।

দিনাজপুরের শহরে ইজিবাইক চালক আতাউর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার ফলে রাস্তায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। অন্যদিকে ঠান্ডার কারণে যাত্রীরা বাড়ি থেকে বের হতে চান না। এতে করে আমরা অনেক সমস্যা পড়ে গেছি।

দিনাজপুর উপশহর এলাকার শ্রমিক শফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে শরীরে চলে না। ঠিক মতো কাজ করতে পারি না। কাজ না করলে আবার সংসার চালাব কী করে। তাই ঠান্ডার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

মৌসুম শীতের কাপড় বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাড়ায় গরম কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। এখন গরম কাপড় ভালো বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ আগে বিক্রি খুব খারাপ ছিল।

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার ভাবকী গ্রামের আলু চাষি আজিজুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে দিনাজপুরে খুব ঘন কুয়াশা পড়ছে। দিনের বেলা সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এর প্রভাব পড়ছে আলু ক্ষেতে। তারপরও আমরা ঘুন কুয়াশার মধ্যে কীটনাশক ছিটিয়ে আলুর গাছকে রক্ষার চেষ্টা করছি। এভাবে ঘুন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে আলুর গাছের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

একই গ্রামের আলু চাষি ফজলুর রহমান জানান, গত বছর ঘন কুয়াশার কারণে আমার আলুর অনেক ক্ষতি হয়েছিল। এ বছর একই ধরনের চলতে থাকলে আমার এবারও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তারপরও আলুর গাছ বাচানোর জন্য কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করছি।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল জানান, এ বছর জেলায় ৪৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ মে.টন। প্রচন্ড শীত থেকে আলু আবাদকে রক্ষার জন্য বালাইনাশক স্প্রে করাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে