শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি সুদৃঢ় প্রতিশ্রম্নতি বাংলাদেশের

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি গভীর প্রতিশ্রম্নতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে আর্থিক অবদান বাড়ানোর প্রয়াসে ভার্চুয়ালভাবে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের পুনর্ভরণ সম্মেলনে বক্তব্যকালে এই প্রতিশ্রম্নতির কথা তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবার ফাতিমা। বুধবার জাতিসংঘের স্থায়ী অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ এবং কানাডা, জার্মানি, সিয়েরালিওন ও সুদান সরকার যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে উলেস্নখযোগ্য পরিমান অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিডের কঠিনতম সময়েও শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া বিশ্বশান্তির প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রম্নতিরই বহিঃপ্রকাশ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও শান্তিবিনির্মাণ পদক্ষেপে বাংলাদেশের অমূল্য অবদানের পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে আর্থিক এই সহযোগিতার প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া হলো।

শান্তিবিনির্মাণ পদক্ষেপে বহু বছর ধরে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শান্তিবিনির্মাণ অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্‌বান জানান।

শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত দুটি রেজুলেশনের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ শান্তিবিনির্মাণ তহবিলের জরুরি সম্পদ সংগ্রহের সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সমর্থন জুগিয়ে যাবে। সাম্প্রতিক গৃহীত ওই রেজুলেশনদ্বয় অনুযায়ী আগামী ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য শান্তিবিনির্মাণ তহবিলের আবশ্যকতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজের সব অংশ সমানভাবে যাতে এই তহবিলের সুফল ভোগ করতে পারে অবশ্যই তা নিশ্চিত হতে হবে।

শান্তিবিনির্মাণ তহবিলের ২০২০-২০২৪ বিনিয়োগ কৌশলে স্বেচ্ছা-অবদানকে উৎসাহিত করতে উচ্চ পর্যায়ের এই পুনর্ভরণ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব, সিয়েরালিওনের রাষ্ট্রপতি, সুদানের প্রধানমন্ত্রী এবং কানাডা ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে