আলোক ফঁাদে ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কাউনিয়া (রংপুর) সংবাদদাতা
রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে রোপা আমন ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তকরণ করণ ও দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে স্থাপন করা হচ্ছে আলোক ফঁাদ। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে এই ফাঁদ স্থাপনে সহযোগীতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার হলদীবাড়ী বøকে নুরুল ইসলামের রোপা আমন ক্ষেতে আলোক ফঁাদ স্থাপন করে ক্ষতিকর কারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন পোকার উপস্থিতি শনাক্তকরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ সহকারী কৃষিবিদ মো. মাহফুজ আলম ও শ্রী কানাই চন্দ্র বমর্ন। এছাড়াও উপস্থি ছিলেন কৃষক বকুল মিয়া, জহুরুল হক, আবুজার হাসান, মিলন মিয়া প্রমুখ। অন্যদিকে রাজিব বøকে আলোক ফঁাদের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা দমনে কৃষকদের পরামশর্ দেন উপসহকারী কৃষিবিদ এমদাদুল হক। এ সময় কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্থানীয় কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। উপ সহকারী কৃষিবিদ এমদাদুল হকের পরামশের্ ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে ভালো ফল পেয়েছি। এদিকে কৃষি স¤প্রসারণ কাযার্লয় সূত্রে জানানো হয়েছে, এ উপজেলায় চলতি বছর ১১ হাজার ৪৭২ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে ১৮টি কৃষি বøকে প্রান্তিক কৃষক ও উপ সহকারী কৃষিবিদরা প্রতিদিন সন্ধায় আমন ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ হারুনর রশিদ বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পযর্ন্ত এই তিন মাস রোপা আমন ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর ক্ষেতের আইলে ফাঁদ হিসেবে বাতি জ্বালানো হয়। বাতির নিচে পাত্রে সাবান, ডিটারজেন্ট অথবা কেরোসিন মেশানো পানি রাখা হয়। আলো দেখে পোকা-মাকড় পাত্রের কাছে চলে আসে। ওড়াউড়ি করতে গিয়ে পাত্রের পানিতে পড়ে। উপস্থিত পোকা দেখে শনাক্ত করে ধান ক্ষেতে পরবতীর্ দমন পদ্ধতি ঠিক করা হয়।