ডোমারে স্বাধীন হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা
নীলফামারী ডোমারে চাঞ্চল্যকর নেসকোর গাড়িচালক আবু সাইদ স্বাধীন (২০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। চার হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয় তাকে। আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে স্বাধীনের বন্ধু অপর্নুল ইসলাম অপর্ণ। তারা দু’জনেই ডোমার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রের (নেসকোর) চুক্তিভিত্তিক কমর্চারী। অপর্ণ ডোমার পৌরসভার ৮ নং ওয়াডের্র পূবির্চকনমাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্বাধীন রংপুর কারমাইকেল কলেজ সংলগ্ন দশর্না কলেজ পাড়ার মৃত আব্দুল জলিল বাবুর ছেলে। সোমবার বিকালে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় অপের্ণর দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকডর্ করা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নেসকোর চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালক স্বাধীন ভাড়া বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় স্বাধীনের মা রেজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপর্ণ জবানবন্দিতে জানায়, কিছুদিন আগে স্বাধীনের চার হাজার টাকা হারিয়ে যায়। এ টাকার জন্য স্বাধীন অপর্ণকে চুরির অপবাদ দেয়। এতে স্বাধীনের উপর অপের্ণর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ থেকেই এই হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটে। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার সময় অপর্ণ স্বাধীনের রুমে গিয়ে দু’জনে গল্প করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আবারো রাত আড়াইটার দিকে ফিরে আসে। স্বাধীন তার রুমের দরজা খুলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় অপর্ণ রাত ৩ টা ১০ মিনিটে তার ঘরে থাকা সবজিকাটা কাটারি দিয়ে স্বাধীনকে গলাকেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তার গলায় স্বাধীনের ব্যবহৃত শাটর্ ও গামছা পেঁচিয়ে রক্ত আটকানোর চেষ্টা করে। পরে হাতমুখ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে বাইরে থেকে রুমে তালা লাগিয়ে অপর্ণ তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। সে আরও জানায়, এ ঘটনার পর কিছুতেই তার ঘুম আসছিল না। এভাবেই রাত কেটে গেলে পরদিন বিকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডোমার থানা পুলিশ অপর্ণসহ ৮ জনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকিদের ছেড়ে দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর অপর্ণকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডের ৩য় দিনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় অপর্ণ। ডোমার থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মোকছেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাÐের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এর রহস্য উদঘাটন করা হলো।