মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চার বছরে দুদক কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬১ বিভাগীয় মামলা হয়েছে

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল। এই চার বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনিয়মের অভিযোগে ৬১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তার মধ্যে কঠোর সাজা হয়েছে মাত্র আটজনের। আর প্রায় অর্ধেক অভিযোগের মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। দুদকের চার বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০১৯ সালে ২৮, ২০১৮ সালে ৪, ২০১৭ সালে ১৫ ও ২০১৬ সালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এতে মোট আটজনকে কঠোর শাস্তি ও ছয়জনকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেওয়া হয়। আর অন্যভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩২টি মামলা। তবে প্রায় ২৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি।

দুদকের বিধিমালা ২০০৭ অনুসারে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্তে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর আওতায় কে কী অপরাধ করছে তা সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণ, নজরদারি, অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, মামলা দায়েরের জন্য অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন নামে একটি কমিটি থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ২০১৯ সালেও একাধিক বৈঠক করেছে। বেশকিছু প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে কমিশনের দুজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও একজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেওয়া হয়েছে। একই বছর দুদক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬টি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে নয়টি।

২০১৮ সালে কমিশনের তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও একজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেওয়া হয়েছে। একই বছর দুদক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। যার মধ্যে নষ্পত্তি হয়েছে আটটি।

২০১৭ সালে কমিশনের একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও দুজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেওয়া হয়েছে। সে বছর বিভাগীয় মামলা ছিল ২৫টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩টি।

আর ২০১৬ সালে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ছিল ২৬টি, যার মধ্যে কঠোর সাজা পেয়েছেন দুজন, স্বল্পমাত্রার সাজা হয়েছে দুজনের এবং অন্যভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২টি মামলা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে