যশোরে মাদক মামলায় দুই বছরের দন্ডপ্রাপ্ত বৃদ্ধা আজিমন বেগমকে সাত শর্তে বাড়িতেই বসবাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস ভিন্নধর্মী এই রায় দিয়েছেন। সাজার এই মেয়াদে তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে হবে। দন্ডপ্রাপ্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব আজিমন বেগম যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট-কৃষ্ণবাটি গ্রামের মনির শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট বেনাপোলের ত্রিমোনী হরিমালী গেট এলাকা থেকে আজিমন বেগমকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেন যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সলিমুলস্নাহ বাদী হয়ে বেনাপোল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দেওয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক আজিমন বেগমকে দুই বছরের দন্ড দিয়েছেন। তবে ওই দন্ড ভোগ করতে হাজতে নয় বরং বাড়িতেই থাকতে পারবেন তিনি। এক্ষেত্রে তাকে সাতটি শর্ত পালন করতে হবে।
শর্তগুলো হলো, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোনো প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। শান্তি বজায় রাখবেন এবং সবার সঙ্গে সদাচরণ করবেন। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করলে শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হবেন। কোনো প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবেন না। আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবনধারণের উপায় সম্পর্কে অবহিত হবেন। এই সময়কালীন প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না।
আদালতের ব্যতিক্রমী এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আয়ুব খান বাবুল।