তীব্র যানজটে দিনভর ভোগান্তি

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নারী ও শিশুরা -স্টার মেইল
দুঃসহ এক যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যান। ফলে রাজধানীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যেতে নগরবাসীকে বুধবার দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে ছিল। নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে যানজট ছড়িয়ে পড়েছিল রাজধানীজুড়ে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে আজিমপুর-মিরপুর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে শিক্ষা কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে এ আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু রাত পর্যন্ত দিনে তৈরি হওয়া যানজটের রেশ নগরজুড়ে লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (তেজগাঁও) অতিরিক্ত উপকমিশনার মনজুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে পুরো মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যা গাবতলী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। নীলক্ষেত মোড় দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব হয়ে মিরপুর ও ধানমন্ডিসহ বিকল্প রাস্তায় বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এদিকে মিরপুর সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানজট ফার্মগেট-শাহবাগ বিজয় সরণি মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। যানজট নিরসনে সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউমার্কেটগামী গাড়িগুলো নিউ এলিফ্যান্ট রোড হয়ে কাঁটাবন দিয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করা হলেও কাঁটাবন মোড়, নীলক্ষেত-পলাশী মোড় ও ঢাকেশ্বরীসহ আশপাশের অলিগলিতেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশকে গোলাপ দিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিকে সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে পুলিশকে গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা 'ছাত্র পুলিশ ভাই ভাই, জল কামানের দরকার নাই' স্স্নোগান দিতে থাকেন। ঘোষিত রুটিনেই পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছিল। এদিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ, জল কামান ও প্রিজন ভ্যান নিয়ে আসে। এর কিছু পরেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ফুল বিতরণের সময় শিক্ষার্থীরা 'ছাত্র পুলিশ ভাই ভাই, জল কামানের দরকার নাই' স্স্নোগান দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ফুল দেওয়ার সময় বলতে শোনা গেছে, 'আমাদের বিরুদ্ধে জলকামান ব্যবহার করতে হবে না। এখানে আপনার ভাই বা সন্তানও রয়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করুন। আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ নই। আমাদের সহায়তা করুন। আমাদের শিক্ষা জীবন ত্বরান্বিত করুন'।