শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
একুশ আমার অহংকার

সিংহভাগ প্রাথমিকেই নেই শহীদ মিনার

পাংশা
মাসুদ রেজা শিশির
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০
পাংশা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার -যাযাদি

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পাংশা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়নি ভাষাশহীদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ বা শহীদ মিনার। আর পাংশা উপজেলায় ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৭টি বিদ্যালয়ে রয়েছে শহীদ মিনার। সিংহভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার। অবশ্য এজন্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় শিক্ষকরা।

এদিকে কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয় অথচ একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মো. চাঁদ আলী।

পাংশা উপজেলায় ২৬টি মাদ্রাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। দুঃখজনক হলেও সত্য উপজেলার একমাত্র সরকারি বিদ্যালয় পাংশা জর্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও নেই শহীদ মিনার। ২০টি বিদ্যালয়ে শহীন মিনার নির্মাণ হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ইচ্ছায়। বাকি বিদ্যালয়গুলোতেই যেন দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ভাষাশহীদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। পাংশা উপজেলায় ৯টি কলেজের মধ্যে পাংশা সরকারি কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলেজ শরিসা, মাছপাড়া কলেজ, কলিমহর মহাবিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে বাকি কলেজগুলোয় এখনো শহীদ

মিনার নির্মিত হয়নি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে উদাসীনতার বিষয়ে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর মু. জাহিদুল কবির তুহিন বলেন, যে দপ্তর স্কুলভবন নির্মাণ করেন তারাই প্রতিটিতে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারে। তারপরও অনেক প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে শহীদ মিনার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ সদস্য আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, এখন সবই অনেকটা গা-ছাড়াভাবেই চলছে। নতুন প্রজন্মের মনে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের আবেগ তৈরি করতে না পারাটা আমাদেরই ব্যর্থতা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার শিক্ষার্থীদের ভাষার গুরুত্ব বোঝাতে সহায়ক হয়। যারা রাজনীতির ধারক-বাহক শহীদ মিনার নির্মাণে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম নাসিম আখতার বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের এ ব্যাপারে তাগাদা দিয়ে থাকি সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের তথ্য তালিকায় কোনো প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে বা নেই তার তালিকাও প্রেরণ করে থাকি।

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন যে প্রতিষ্ঠানগুলোয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চেষ্টা করব সব প্রতিষ্ঠানে যেন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে