আগামী ২৮ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠেয় পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ,র্ যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
পৌরসভাগুলো হলো- চট্টগ্রামের মীরসরাই, বারইয়ারহাট, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান, জামালপুরের জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর, রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর, ভোলা সদর ও চরফ্যাশন, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও শাহরাস্তি।
এছাড়া অন্য পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, লক্ষ্ণীপুরের রায়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, হবিগঞ্জ সদর, বগুড়া সদর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, যশোরের কেশবপুর, মাদারীপুর সদর, রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জয়পুরহাট সদর, মাদারীপুরের শিবচর, ময়মনসিংহের নান্দাইল, যশোর সদর ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ।
নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চম ধাপে ৩০টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে মক ভোটিংও শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটের অপেক্ষা। এছাড়া শুক্রবার (২৬ ফেব্রম্নয়ারি) মধ্যরাত ১২টায় শেষ হচ্ছে সব ধরনের প্রচার। বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল চলাচলও।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ৩০ পৌরসভার ৩০টি মেয়র পদ, ৩০০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১০০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ করা হবে ৬৩৭টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৩২০টি ভোটকক্ষে। এতে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ২১৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনে মেয়র পদে ১০০ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৬৬ জন
এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ৩১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটের মাঠে রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের মোবাইল টিম ১০০টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩০টি,র্ যাবের ১০০টি মোবাইল টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় ২ পস্নাটুন বিজিবি আর উপকূলীয় পৌরসভা প্রতি কোস্টগার্ড ১ পস্নাটুন।
ভোটের দিন প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১১ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশসহ ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৩০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৩০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত রয়েছেন।
চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে যশোর সদর পৌরসভা নির্বাচন। আর অন্য ধাপ থেকে যোগ হয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভা। সব মিলিয়ে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ৩০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভায় ৮ নম্বর কাউন্সিলর পদে ইভিএমে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পিরোজপুর পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ কাউন্সিলর ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে।
অন্যদিকে নরসিংদী পৌরসভার নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত চারটি কেন্দ্র, দামুড়্যার দু'টি কেন্দ্র ও সোনাইমুড়ি পৌর নির্বাচনের বন্ধ ঘোষিত একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণও অনুষ্ঠিত হবে।
