তালাকের কাগজ পৌঁছেনি আগের স্বামী রাকিবের গ্রামের বাড়িতে!

ক্রিকেটার নাসির হোসেনের নববিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির পাঠানো তালাকের কোনো নোটিশ তার আগের স্বামী রাকিবের গ্রামের বাড়ি এসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। রাকিবের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো তালাকের নোটিশ আসেনি বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মাকসুদুল হক। অথচ বুধবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হোসেনকে তালাক দেওয়ার দাবি করেন তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং তালাকের নোটিশ রাকিবের এলাকায় পাঠানোর কথা বলেন। রাকিবের গ্রামের বাড়ি নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া গ্রামে হলেও রাকিবের মা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে নলছিটি পৌর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। সেখানে গিয়ে রাকিবের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাকিবকে তামিমা তালাক দিয়েছে তা কয়েকদিন আগে মিডিয়ার সংবাদে তারা জানতে পারেন। তবে তালাকের কোনো কাগজই তারা পাননি বলে জানান। ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে তোলপাড়। প্রথম স্বামী রাকিব হোসেন এরই মধ্যে মামলা করেছেন স্ত্রী তামিমা ও নাসিরের বিরুদ্ধে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রথম স্বামী বর্তমান থাকতে এবং তাকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তামিমা। আর নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন তিনি। এসব অভিযোগের জবাব দিতে বুধবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন নাসির ও তামিমা। সেখানে তামিমা দাবি করেন, রাকিবকে অনেক আগেই তালাক দিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তালাকের কপি দেখিয়ে তামিমা জানান, তালাকের এই কপি রাকিবের গ্রামের বাড়ি নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখানে খবর নিয়ে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এরকম কোনো তালাকের নোটিশ বা কোনো কাগজ পাননি বলে জানিয়েছেন নলছিটির ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ও সচিব মাকসুদুল হক মাকসুদ। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত রেজিস্টার দেখিয়ে বলেন, 'সাধারণত রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ জাতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। ফলে তা না আসার কোনো কারণ নেই। আমাদের রেজিস্টারে এ ধরনের নোটিশ আসার কোনো প্রমাণ লিপিবদ্ধ নেই। তাছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে যেরকম তোলপাড় চলছে তা জানার পর আমরা পুনরায় যাচাই করে দেখেছি কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ আসার রেকর্ড নেই।'