বিয়ের দাবি

প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া দুই কিশোরী সংশোধনাগারে

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকদের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া দুই কিশোরীকে সরকারি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রথমে পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব না হওয়ায় পরে আদালতের নির্দেশে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। শুক্রবার সকালে ওই দুই কিশোরীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি সরকারি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে (সংশোধনাগার) পাঠানো হয়েছে। নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রম্নয়ারি) তাদের ত্রিশাল উপজেলার ধলায় অবস্থিত মহিলা ও শিশু কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের ভবঘুরে আশ্রয়ণে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে আশ্রয়কেন্দ্রটি কিশোরদের জন্য হওয়ায় সেখানে কিশোরীদের রাখা হয়নি। দুই কিশোরী রাতে পুলিশের হেফাজতে ছিল। শুক্রবার তাদের কোনাবাড়ি সরকারি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, ওই দুই কিশোরী সম্পর্কে চাচাতো বোন। তারা জাহাঙ্গীরপুর আলিম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই দুজন দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের দুই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাদের কার্যকলাপ নিয়ে আপত্তি ওঠায় এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-দরবার হলেও সম্পর্ক ভাঙেনি। গত ২০ ফেব্রম্নয়ারি চারজন মিলে নান্দাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার মানবেন্দ্রনাথ জমিদারবাড়িতে বেড়াতে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও ওই দুই বোন বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, দুই কিশোরী ওই দুই কিশোরের সঙ্গে জমিদারবাড়িতে সময় কাটাচ্ছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় চারজনকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই কিশোরীকে তাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে গ্রাম্য সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত হলেও তাদের বিয়ের বয়স না হওয়ায় রাতেই দুই কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই কিশোরী পরদিন (২১ ফেব্রম্নয়ারি) ওই দুই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। অনেক বোঝানোর পরও কিশোরীদের সরাতে পারছিলেন না দুই পক্ষের অভিভাবকরা। এ কারণে গত বুধবার এক কিশোরের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই দিন রাতেই নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহীনুল ইসলাম দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।