বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবমুখর ২৯ পৌরসভায় ভোট, একজন নিহত

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ মার্চ ২০২১, ০০:০০

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রোববার পঞ্চম ধাপে দেশের ২৯ পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৬টি ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভাগুলোর সবক'টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হয়।

এদিকে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

আমাদের সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েল ও আখতার ফেকুর সমর্থকদের মধ্যে রোববার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নজরুল ইসলাম রয়েলের সমর্থক ছোটন অধিকারীর (৫২) মতু্য হয়। এই ঘটনায় আজম আলী সরকার (৩৫) ও সবুজ (৩০) নামের দুজন আহত হন। এছাড়া ৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের টগর নামে এক কর্মীকে বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের সৈয়দপুর সৈয়দপুর ১শ' শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির দলীয় মেয়রপ্রার্থী আলহাজ রশিদুল হক। ১০নং ওয়ার্ডের নয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুল কেন্দ্রে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। অপরদিকে একই অভিযোগে জাপার প্রার্থী আলহাজ সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সামনে সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুরে পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা একান্ত তাদের ব্যাপার। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ভোট ডাকাতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে এরকম মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, সব কেন্দ্রে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হয়েছে।

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির আলহাজ রশিদুল হক সরকার ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের রাফিকা আকতার জাহান বেবী নৌকা, জাতীয় পার্টির আলহাজ সিদ্দিকুল আলম লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ নুরুল হুদা হাতপাখা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রবিউল আউয়াল মোবাইল ফোন প্রতীকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে ২১ জন প্রার্থী ছিলেন।

১৫টি ওয়ার্ডের ৪১টি কেন্দ্রে ৩৯৬টি ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ৪১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২৬৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৫২৮ জন পুলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিন পাঁচ পস্নাটুন বিজিবি,র্ যাব ও পুলিশের ১৯টি মোবাইল টিম ও কেন্দ্রের বাইরে ৪টি স্ট্রাইকিং টিম ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

এর আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ,র্ যাব ও বিজিবির বাড়তি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।

কমিশন সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় ১৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে অন্য ধাপ থেকে এ ধাপে যুক্ত হয় সৈয়দপুর পৌরসভা। অপরদিকে উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে যশোর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়। চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরসহ সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সবমিলিয়ে ২৯টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে।

তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড, ঝিনাইদহের শৌলকুপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর শৈলকুপা ও পবা, ফরিদপুরের মধুখালী এবং কুমিলস্নার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে