ত্বকী হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক বিবৃতিতে তারা এ হস্তক্ষেপ চান। রোববার সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার আট বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৬ মার্চ। এই দীর্ঘ সময়েও আলোচিত এ নির্মম হত্যাকান্ডের অভিযোগপত্র আদালতে পেশ না করায় আমরা মর্মাহত, সংক্ষুব্ধ। এ বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা যেমনই উৎসাহিত হচ্ছে, অপর দিকে স্বাধীন বিচারব্যবস্থাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। একটি বিচারহীনতা অসংখ্য বিচারহীনতার পথ তৈরি করে দেয়। বছরের পর বছর বিচার বন্ধ হয়ে থাকা কখনো কাম্য হতে পারে না। আমরা অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে এই বিচারপ্রক্রিয়া দ্রম্নত শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।' বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ভাষাসৈনিক, লেখক ও গবেষক আহমদ রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রবীন্দ্র-গবেষক শিক্ষাবিদ ড. সন্‌?জীদা খাতুন, চিত্রশিল্পী ও ভাষাসৈনিক মুস্তাফা মনোয়ার, শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার, শিক্ষাবিদ ড. হায়াৎ মামুদ, শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, মানবাধিকার সংগঠক সুলতানা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শফি আহমেদ, নারী অধিকারকর্মী ও লেখক ড. মালেকা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও লেখক-গবেষক মফিদুল হক, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যপক এম এম আকাশ, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।