বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রজ্ঞাপন জারি

রমজানে ক্লাস চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ মার্চ ২০২১, ০০:০০

স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধাপে ধাপে বাড়ানো ছুটি আগামী ২৯ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সর্বশেষ দফায় চলমান ছুটি বাড়াতে গত রোববার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের বন্ধের ধারাবাহিকতায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একই নির্দেশনা দিয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত শনিবার মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বলেন, করোনার কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। রোজার পুরো সময় ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ছুটির এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা নিশ্চিত করবেন।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি ছিল গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একই দিন শিক্ষামন্ত্রী জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মে থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে ১৭ মে থেকে। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজ খোলার প্রশ্নটি সামনে আসে।

উলেস্নখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের কথা স্বীকার করে সরকার। এর পরপরই গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়ানো হয়। দীর্ঘদিন এ বন্ধ অব্যাহত থাকায় দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও পড়াশোনা ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতোমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হয়নি। জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে