শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে' সব রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্য চাই :ফখরুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

দেশে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে' সব রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভার আগে মিলনায়তনের সামনে বিএনপি মহাসচিবকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব।

সরকার স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করছে উলেস্নখ করে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কমিটি আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্দেশ্যে জনগণের কাছে, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। সেজন্য আমরা ৩ মার্চ পালন করছি। ইতিমধ্যে কোনো দল সেটা করেনি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে প্রথম স্বাধীন দেশের অন্যতম পতাকা উত্তোলনকারী জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির চেয়ারম্যান আ স ম আবদুর রব বলেন, একাত্তরের আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একেবারে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায়। এই ধরনের সংকীর্ণতা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল।

এদিকে সকালে রাজধানীর ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা 'শাপলা কুঁড়ি-২০১৯' এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য 'সুন্দর-শান্তিময়' আবাসস্থল নির্মাণে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য আবাসস্থল করতে না পারায় দায় সবার। যারা এদেশ স্বাধীন করেছিল তাদের গণতান্ত্রিক, সহনশীল, উদার রাষ্ট্র গঠন করার কথা। কিন্তু সেটা পুরোপুরিভাবে করা যায়নি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি করেছে। কোন্দল করেছে, বিভক্ত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার এই ৫০ বছরের শিশুদের জন্য সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, একটা প্রেমের দেশ, একটা স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পারিনি। নিজের কাছে একটা ঘৃণা আসে, ধিক্কার আসে কাজ করতে না পারার জন্য। শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি। যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে মানুষের মতো। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগৎ তৈরি করা সম্ভব হবে।

সবার কাছে আহ্বান থাকবে যে, সবাই মিলে উদ্যোগ হয়ে, চেষ্টা করে শিশুদের জন্যে একটা সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিময় নিরাপদ একটা পৃথিবী গড়ে তুলি, একটা জগৎ গড়ে তুলি। এটাই হোক সবার লক্ষ্য।

শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। তারা টেলিভিশনে 'নতুনকুঁড়ি' অনুষ্ঠান চালুর কথাও তুলে ধরে বলেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল নতুনকুঁড়ি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অনেক অনেক শিল্পী নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। অনেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। এটা যখন বন্ধ হয়ে যায় তারপরেই জিয়া শিশু একাডেমি ও শাপলাকুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

পরে মির্জা ফখরুল শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এই প্রতিযোগিতার সারাদেশে ২২ হাজার খুদে শিল্পী বাছাই পর্বে অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪শ' ৭৬ জন। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সংগীতে এএসএম শফি মন্ডল, শিল্পায়নে আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে 'কমলপদক-২০২০' প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোস্না বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে