প্রকল্পনির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে -মেয়র তাপস

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শেখ ফজলে নূর তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পূর্বে অনেক কিছুই পারিনি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই ছিলাম। রাজস্ব আহরণ করতে না পারায় সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। প্রকল্পনির্ভর হয়ে চলতে হয়েছে। আমরা প্রকল্প জমা দেই, তারপর সরকার অর্থ দেয় এবং অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। তারপর আমরা কাজ করি। এই প্রকল্পনির্ভরতা কমাতে হবে, নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এজন্য অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে। দুপুরে নগর ভবনে মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত রাজস্ব সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। ডিএসসিসি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উলস্নাহ নুরী, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা মাত্র ২ লাখ ১৮ হাজার। এটা পর্যাপ্ত নয়, অপ্রতুল। এর বাইরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ এই শহরে ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের করের আওতায় আসেনি। সুতরাং তাদেরকে করের আওতায় আনতে হবে। তেমনই পৌর করের (হোল্ডিং ট্যাক্স) সংখ্যা মাত্র এক লাখ ৮৩ হাজার। এই সংখ্যাটা অনেক পূর্বের মনে হচ্ছে। এ সংখ্যাটা অনেক বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি, সেটি আদায়যোগ্য। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠুভাবে যদি কাজ করি, তবে সেটি শতভাগ আদায় করা সম্ভব। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, 'আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাস করি। যিনি ভালো করবেন, যিনি সংস্থাকে আপন মনে করে কাজ করবেন, তাকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা হবে। তাকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। কিন্তু যিনি অন্যায় করবেন, মানুষকে হয়রানি করবেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটা আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা যত বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারব, ততবেশি নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করতে পারব। একইসঙ্গে আপনাদের সুযোগ-সুবিধা বলেন বা কাজের পরিবেশ বলেন বা মানসম্মান যা-ই বলেন না কেন, সবই বৃদ্ধি পাবে।'