শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
যশোরের চৌগাছায় টাকা ধার দেওয়ার নাম করে নিজ বাড়িতে ডেকে এক গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি মিজানুর রহমান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। মিজানুর রহমান উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাদেখানপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন ও ইউসুফ আলী আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করেন তিনি। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াশ করার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুরে ঝিনাইদহে তার মৃতু্য হয়।
তবে ধর্ষণ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ইউপি মেম্বার বিষয়টি অফিসিয়ালি জানাননি। তবে শুনেছি তাকে কোটচাঁদপুর হাসপাতাল থেকে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃতু্য হয়েছে এবং লাশ মর্গে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রম্নয়ারি বুধবার উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে গ্রামের নিজ বাড়িতে মিজানুর এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে স্ত্রী-ভাতিজাদের সহায়তায় পালিয়ে যান। পরে ২৫ ফেব্রম্নয়ারি ওই নারী থানায় মামলা করেন।
মামলার লিখিত অভিযোগে ওই গৃহবধূ বলেন, প্রতিবেশী মিজানুর রহমানের কাছে ২৪ ফেব্রম্নয়ারি (বুধবার) সকালে মোবাইল ফোনে সমিতির কিস্তি দেওয়ার জন্য ১ হাজার টাকা ধার চান। কিছুক্ষণ পরে মিজানুর মোবাইল ফোন করে টাকা নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে ডাকেন। সেখানে গেলে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ সময় তার চিৎকারে মিজানুরের স্ত্রী মনিবালা বেগম (৪৫) ও মিজানুরের ভাইয়ের ছেলে তারিফ (২০) এসে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ঘটনা দেখে ফেলে। এ সময় তারা ওই নারীকে দোষারোপ করে মারপিট ও চুরির অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে কৌশলে মিজানুর রহমান ওই স্থান হতে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে মিমাংসার নামে বিচারে ওই নারীকে আবারও মারপিট করে কিছু টাকা হাতে দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই নারী তার বাবার বাড়ি গিয়ে বৃহস্পতিবার চৌগাছা থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি বিষপান করেন।
Google News ফিড অনসরণ করুন
