আজকের যায়যায়দিন

রোজা শেষে এসেছে খুশির ঈদ। আনন্দ চারদিকে। ঈদের এ আনন্দ ইয়াছিনের পরিবারে বিষাদে রূপ নেয়! ঘটনাটি ঈদুল ফিতরের। ঈদের দিনে খেলতে গিয়ে বাঁশের কঞ্চির আঘাত লাগে সাড়ে ৪ বছরের শিশু ইয়াসিনের চোখে। কঞ্চির আঘাতে নষ্ট হয়ে যায় ইয়াছিনের বাম চোখের কর্নিয়া। এখন সেই কর্নিয়া দিন দিন চোখের বাইরে চলে আসছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন তার কর্নিয়া সংযোজন। নয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে অপর চোখটিও। এমন শঙ্কায় দিন কাটছে ৪ বছর ৫ মাস বয়সি শিশু মো. ইয়াসিন মিয়ার। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের দিনমজুর মো. আবুল বাসারের ছেলে।

দৈনন্দিন যা আয় হয় তা দিয়েই চলে ২ ছেলে আর ১ কন্যাকে নিয়ে আবুল বাশারের ৫ সদস্যের পরিবার। ঈদের দিনে বন্ধুদের ১

সঙ্গে খেলতে গিয়ে হঠাৎ করে বাঁ চোখে কঞ্চির আঘাত পায় ইয়াসিন। তার বাবা তাৎক্ষণিক তাকে নিয়ে ছুটে যান গৌরীপুর ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে, তারপরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা। ধীরে ধীরে খেলতে গিয়ে চোখের অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর রেফার করা হয় ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে। সেখান থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা। অসহায় বাবা সন্তান কাঁধে নিয়ে ছুটে চলেন এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। দিনমজুর বাসারের সংসার চলে অর্ধাহারে অনাহারে। চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সহযোগিতাও নিয়েছেন বারবার। এখন নিরুপায় অসহায় এই বাবা। প্রয়োজন তার আর্থিক সহযোগিতা।

বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা. নুসরাত শারমীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ইয়াছিন। চিকিৎসকদের ভাষ্য, কর্নিয়া সংযোজন ছাড়া ইয়াসিনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আর এই কর্নিয়া যোগাড় ও প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন দেড় লাখ টাকা। যা অসহায় বাবার পক্ষে যোগাড় করা আদৌ সম্ভব নয়। সন্তানের এমন অনিশ্চিত জীবন আর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত বাবা।

গরমে বিদু্যতের চাহিদা বাড়ছে উৎপাদনে অনিশ্চয়তা

ইতোমধ্যে চোখের ক্ষতস্থানটি বড় হয়ে যাচ্ছে। চোখের বাইরে বেরিয়ে আসছে লাল মাংসপিন্ড। বাবার চোখের দৃষ্টি এখন সন্তানের দিকে, শুধু প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা। এ সহযোগিতা পেলে ইয়াসিন ফিরে পাবে নতুন চোখ ও দৃষ্টি। সহযোগিতা করতে চাইলে ইয়াসিনের বাবার নগদ বা বিকাশ নম্বর- ০১৭৬৬-৭৩৫৮০৮, মুঠোফোন প্রয়োজনে- ০১৯৪৭-৮১৫২১৭ যোগাযোগ করতে পারেন।