ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন

রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা কম বাংলাদেশে

পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক ও ভিত্তিহীন বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতা একদমই কম বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক 'ফ্রিডম হাউস' নামের ওই সংস্থাটির ২০২১ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে 'আংশিক স্বাধীন' দেশগুলোর মধ্যে তলানিতে বাংলাদেশের অবস্থান। সংবাদসূত্র : বিবিসি বাংলা চলতি বছর বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩৯ (১০০-এর মধ্যে)। এর মধ্যে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অধিকারে ৪০-এ ১৫ এবং নাগরিক স্বাধীনতায় ৬০-এর মধ্যে ২৪ পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে একই অবস্থানে থাকলেও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪১ ও তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ৪৫ এবং ২০১৭ সালে ছিল ৪৭। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'রিপোর্টটি অ্যাবসুলেটলি বায়াসড ও আনসাবস্টেনশিয়েটড' বা পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক ও ভিত্তিহীন। এই স্কোরের অর্থ কী- 'স্বাধীন নয়', 'আংশিক স্বাধীন' ও 'স্বাধীন' যেসব দেশ ও অঞ্চলের স্কোর গড়ে এক থেকে ৩৪ এর মধ্যে, তাদের 'স্বাধীন নয়' (হড়ঃ ভৎবব), ৩৫ থেকে ৭১ হলে তাদের 'আংশিক স্বাধীন' (ঢ়ধৎঃষু ভৎবব) এবং ৭২-এর বেশি হলে তাদেরকে 'স্বাধীন' (ভৎবব) হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যেমন তিব্বত অঞ্চল, সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদান ১ স্কোর, ইরিত্রিয়া ২, উত্তর কোরিয়া ৩, সোমালিয়া ও সৌদি আরব ৭ স্কোর নিয়ে 'স্বাধীন নয়' দেশের তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৭ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান, ২৭ ও ২৮ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চল ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চল 'স্বাধীন নয়' তালিকায়। আর ৩৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান 'আংশিক স্বাধীন' দেশের তালিকায় তলানিতে স্থান পেয়েছে। এরপরেই বাংলাদেশের অবস্থান (স্কোর ৩৯)। তবে সবচেয়ে 'স্বাধীন' দেশ হিসেবে তালিকায় রয়েছে সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড (স্কোর ১০০)। এরপর ৯৯ স্কোর নিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড, ৯৮ স্কোর নিয়ে আছে কানাডা, উরুগুয়ে ও নেদারল্যান্ডস। এছাড়া ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে জার্মানির স্কোর ৯৪, যুক্তরাজ্যের ৯৩, ফ্রান্সের ৯০, যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩, ভারতের ৬৭, তুরস্কের ৩২, রাশিয়ার স্কোর ৩২, ইরানের ১৬, এবং চীনের স্কোর ৯। \হ কীভাবে এই স্বাধীনতার মূল্যায়ন? সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে; রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা। রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক পস্নুরালিজম বা বহুত্ববাদ ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ, সরকারের কার্যকারিতা, নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা, ক্ষমতার ব্যবহার ও স্বচ্ছতা সম্পর্কিত নানা বিষয়। অন্যদিকে, নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিশ্বাস, মানবাধিকার সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা, আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থা, ব্যক্তি স্বাধীনতা। এসব বিষয় পর্যালোচনা করে এমন মূল্যায়ন করা হয়েছে।