বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চের ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র যোদ্ধায় পরিণত করেছিল : তথ্যমন্ত্রী

ম যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল বলে উলেস্নখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বললেন, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রম্নর মোকাবিলা করতে হবে। সেদিনই নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়।'

শনিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক মো. শামসুল হক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এমন ছিল- যার লাঠি আছে সে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে, যার ঘরে দা আছে- লাইসেন্স করা বন্দুক আছে- সে তা নিয়েই বেরিয়ে পড়েছে। সেই ভাষণ আজও যে কেউ শুনলে উদ্দীপ্ত হয়, গায়ের লোম শক্ত হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর মতো এমন আবেদনময় ও উদ্দীপ্ত করার ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ দেননি। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর কোনো নোট ছিল না, তিনি একনাগাড়ে বলে গেছেন। পৃথিবীতে অনেক অর্থবহ ভাষণ আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার এই ভাষণে একটি নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে সশস্ত্র জনবাহিনীতে রূপান্তর করে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।'

ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে লেখা হয়- চতুর শেখ মুজিব প্রকৃতার্থে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য তাকে অভিযুক্তও করা যাচ্ছে না। এখনো এই ভাষণ শুনলে মানুষ থমকে দাঁড়ায়, এজন্য বিশ্বের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ অসাধারণ ও অনন্য বিধায় জাতিসংঘের বিশ্বের ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।'

বিএনপি ৭ মার্চ পালন করার ঘোষণা দেওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এতদিন পরে তাদের বোধোদয় হলো। মির্জা ফখরুল সাহেব এটিও বলেছেন ৭ মার্চ ইতিহাস, এই ইতিহাসকে আমাদের স্বীকার করতে হবে। আমি ফখরুল সাহেবদের বলব বাকি যে ইতিহাস বিকৃতি করেছিলেন, সেটাও ভুল স্বীকার করে নেন। তাহলে জাতি আপনাদের সাধুবাদ দেবে।'

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহসভাপতি মো. মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন রাশেদ, জসিম উদ্দিন, আফতাব উদ্দিন আহমেদ, স্বজন কুমার তালুকদার, আবদুলস্নাহ আল বাকের ভুইঁয়া, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে