বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিদা হোসেন চৌধুরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ০৯ মার্চ ২০২১, ১০:৪২

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার কর্ণফুলী গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী, প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা হোসেন চৌধুরীর সপ্তম মৃতু্যবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর পরীবাগের 'সাদত নূর' বাসভবনে সপ্তাহব্যাপী কোরআন পাঠ করে সোমবার খতম দেওয়া হয়। এছাড়া বাদ জোহর রাজধানীর কাকরাইলস্থ কর্ণফুলী গ্রম্নপের প্রধান কার্যালয় এইচআর ভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও যাতে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে পারেন এজন্য গোটা আনুষ্ঠানিকতা জুম অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এ ব্যাপারে আগাম বার্তাও আগেই পাঠানো হয়েছিল। ফলে কর্ণফুলী ও এইচআরসি গ্রম্নপের ঢাকার বাইরের অন্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেশ ও দেশের বাইরের বিপুলসংখ্যক নিকট আত্মীয়স্বজন সহজেই জুম অ্যাপে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। কর্ণফুলী গ্রম্নপের প্রধান কার্যালয় কাকরাইলস্থ এইচআর ভবন থেকে পরিচালিত এ অনুষ্ঠানে রাশিদা হোসেন চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ পরিবারের অন্য ঘনিষ্ঠ সদস্যরা ছিলেন। এছাড়া কর্ণফুলী গ্রম্নপের ঢাকাস্থ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসরি অংশ নেন। দোয়া মাহফিলে মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর সুন্দর পারলৌকিক জীবন কামনার পাশাপাশি তাঁর স্বামী প্রয়াত হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর জন্য জান্নাত কামনা করা হয়। এছাড়া মরহুমার তিন সন্তানসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের সুন্দর জীবন পরিচালনার সুযোগদানের জন্য আলস্নাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়। মরহুম হেদায়েত হোসেন চৌধুরী ও মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর দাদা-দাদি, নানা-নানি ও আত্মীয়স্বজন যারা কবরবাসী হয়েছেন এবং যারা জীবিত আছেন তাদের সবার জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে আলস্নাহর দরবারে বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ বিশিষ্ট সমাজসেবিকা ও শিক্ষানুরাগী রাশিদা হোসেন চৌধুরী আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং লাখো অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খান বাহাদুর আলহাজ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মা ফাতেমা খাতুন চৌধুরী। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তার বড়ভাই আলহাজ একেএম ফজলুল কবীর চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা, দ্বিতীয় ভাই একেএম ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন। রাশিদা হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাঈদ হোসেন চৌধুরী এইচআরসি শিল্প পরিবারের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি। তার দ্বিতীয় সন্তান সাদেক হোসেন চৌধুরী মাল্টিড্রাইভ গ্রম্নপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কনিষ্ঠ পুত্র সাবের হোসেন চৌধুরী কর্ণফুলী গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দেশ টিভির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে