টিসিবির প্রতিবেদন

বাজারে চাল-তেল-আদা রসুনের দাম বেড়েছে

৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায়।

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গেল সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে চাল, সয়াবিন তেল, দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, আদা, মসুর ডাল এবং শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে। আর পাম অয়েল, ছোলা, হলুদ, খেজুর, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবি জানায়, রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত, মৌলভী বাজার, মহাখালী, উত্তরা আজমপুর, রহমতগঞ্জ, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায়। পাশাপাশি বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দামও। গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। তবে পাম অয়েলের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা পাম অয়েলের দাম দশমিক ৯২ শতাংশ কমে ১০৬ থেকে ১১০ টাকা এবং সুপার পাম অয়েলের দাম ২ দশমিক ২১ শতাংশ কমে ১০৯ থেকে ১১২ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে সরু চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। মাঝারি মানের পাইজাম চালের দাম ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকায়। আর মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধিও অনুপাত ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। দাম বৃদ্ধির তালিকায় থাকা মাঝারি মানের মসুর ডাল সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। দেশি আদার দাম ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গেছে। আমদানি করা আদার দাম ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকায়। আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকায়। টিসিবি আরও জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। বাজারে বিদেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। দেশি রসুনের দাম ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। বৃদ্ধির তালিকায় আরও রয়েছে দারচিনি এবং গুঁড়োদুধের দাম। দারচিনির দাম গত এক সপ্তাহে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৮০ টাকায়। ডানো ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬১০ থেকে ৬৫০ টাকায়। তবে ডানো গুঁড়ো দুধের দাম বাড়লেও ডিপেস্নামা ও মার্কস ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ডিপেস্নামা দুধের দাম এক সপ্তাহে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ৬১০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মার্কস দুধের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ থেকে ৫৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে এ গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রমজানের অত্যাবশকীয় পণ্য খেজুর দাম কমার তালিকায় রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সাধারণ মানের খেজুরের দাম ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে খেজুরের কেজি ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম ১০ শতাংশ কমে কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ তালিকায় থাকা প্যাকেট আটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবির তথ্য আমদানি করা হলুদের কেজি এখন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পণ্যটির দাম কমেছে ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে। ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।